এইটা নিয়ে আমি আরো কয়েকটা পর্ব লিখব সম্ভবত। আজকে শুধু রিল্যাক্সে বই পড়া আর অখন্ড অবসর নিয়ে দু’টি কথা বলি। এই এলাকায় লাখ লাখ একর আমবাগান, হালকা সবুজ ধানক্ষেত, গাঢ় সবুজ গমক্ষেত, হলুদ সরিষাক্ষেত, কালো ফিলিপিনো আখক্ষেত, বিরিশিরির মত পানির শ্মশান, লোভজাগানো পেয়ারা বাগান, অপরাজিতা ফুলের চাউনি,রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা হাজার তালগাছের সারি, আর উঁচু নিচু ঢেউখেলানো সবুজ সুন্দর নিয়ে হয়ত অন্য কোনোদিন বলব। আজকে শুধু মাটির ঘরের আশেপাশে চুপচাপ শুয়েবসে থাকার কথাই বলব।
আমার যেমন এখন মনে হচ্ছে, একজীবন লিখে যাই। আসমান ভেদ করে লিখি, জমিন তেড়েফুঁড়ে লিখি, জীবন-মৃত্যুর হিসাব তুলে রেখে কলমে আগুন ঝরাই, থেমে যাক সময়গ্রন্থি, আমি হয়ে যাই বখতিয়ারের ঘোড়া।
এ রুমগুলো পরিবারের জন্য করা হয়েছে । এগুলো কাপল রুম হলেও, অবশ্যই বিবাহিত হতে হবে অথবা সাথে বাচ্চা নিয়ে আসতে হবে । বিবাহিত হলে এবং বাচ্চা সাথে না থাকলে সাথে করে কাবিননামার সফট কপি হলেও চলবে
১৩৬০০ আম গাছ,
৫০০০ ড্রাগন,
৮০০ কফি,
৮০০০ আখ আছে আমাদের Freshie Farm এ বর্তমানে ।
বর্তমানে চাষ হচ্ছে সব মিলিয়ে ৬৯ একর জমিতে – আলহামদুলিল্লাহ ।
এখন আমাদের পুরো মনোযোগ সামনের আমের সিজনের প্রস্তুতিতে । এজন্য, ঢাকায় অফিস, গোডাউন নেয়ার জন্য খোঁজাখুঁজি চলছে ।
আমরা আমাদের আখ চাষ আরো ৬ বিঘায় বাড়ানর সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।
একই সাথে, আমাদের কন্টেন্ট মার্কেটিং, একাউন্ট আর ডকুমেন্টেশন টিমকে তৈরি করার কাজ চলছে ।
একাউন্ট আর ডকুমেন্টেশন এ আমাদের এখনো দুর্বলতা রয়ে গেছে ।
আমাদের সিজন শেষ করে আমাদের গরু ঢাকায় নিয়ে তাজা মাংস বিক্রির কাজ শুরু হবে ইনশাল্লাহ । বর্তমানে বাজারের তথ্য নেয়ার কাজ চলছে ।
গত ২ মাস বাজার জরিপ করে বেশ মজাদার কিছু তথ্য পাওয়া গেছে ।
যতগুলো হোটেল রেস্টুরেন্ট আছে, সুপারশপ আছে তারা দামে কম খোজে সব যায়গায় ।
কোয়ালিটি মাংস কেউও খোজে না, একই সাথে যত গুলো সুপারশপ আছে ।
এদের কারই পেমেন্ট পলিসি ভাল না – ভেন্ডরদের লাখ লাখ টাকা তারা আটকে রাখে । এই টাকা তুলতে জুতোর সোল না – পায়ের ছাল উঠে যায় ।
স্বনামধন্য এক রেস্টুরেন্ট এর এক ভেন্ডরের ২.৫ কোটি টাকা আটকা, নাম বললে পিঠের ছাল থাকবে না ।
কাজেই, বি২বি সম্ভব না ।
অনলাইন এ বিক্রি করতে গেলে – টাচ এন্ড ফিল না থাকার কারনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অর্ডার আসবে না । ক্যাশ বার্ন করে বাজার ধরতে হবে ।
আমাদের সেই সামর্থ্য নাই ।
কাজেই, কসাই কাট গরু মোতাতাজা করে কসাইদের কাছেই বিক্রি করতে হবে । ইচ্ছে থাকলেও, দেশি জাতের গরু সম্ভব না এখানে ।
প্রজেক্ট বর্গার – গরুতে পরের ব্যাচে এই পরিবর্তন আনতে হবে ।
পিভটিং না করে উপায় নাই ।
এই অফার গুলোর মাঝে কোনটা করা উচিত আর কোনটা করা উচিত হবে না, এটা বুঝে ওঠাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে ।
থম মেরে বসে থাকতে দেখে কাছের মানুষ ভাবে, আমার কি হয়েছে ।
আর আমার মাথায় ক্যালকুলেটর চলে, থিউরি চলে, লোভ সামলাতে হবে এসব সান্তনা দেয়া চলে নিজেকেই ।
লামার ১০০ একর, সিলেট এ ২০ একর, মাসে ৩০০ গরু সাপ্লাই দেয়া, ৫০০ টন চাল বানিয়ে দেয়া … চলছে অফার …
কুঁড়েঘর এর জন্য, গ্রীনিফাই ১ এ একটা ট্রি হাউজ বানানো হবে সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ৬ মাস আগে, কাজের ১০% হয়ে আটকে আছে।
সবজি চাষ করা হবে, যেন সবজি নিজেদের বাগান থেকেই নিয়ে খাওয়া যায়।
ঘোড়া কেনার পরিকল্পনা ছিল এক জোড়া । সেটাও কিনে আনা দরকার – শুরুতে টাট্টু ঘোড়া, পরে মারোয়াড়ি ঘোড়া কেনার ইচ্ছে ।
কয়েক কোটি ঘন্টা ঘুমানো দরকার, আমি ক্লান্ত ।
কিন্তু, অই যে মোটিভেশন –
যখন রক্ত আর ঘাম এক সাথে কাগজে মেশে,
টেবিল হয়ে যায় বিছানা,
আর অফিস হয়ে যায় ঘর –
ক্ষুধা তৃষ্ণা, বউ বাচ্চা ঘর কিছুই মাথায় থাকে না
তখন একটা কোম্পানি দাঁড়ায় ।
২০০০০ গরু আর একটা অ্যারাবিয়ান কালো ঘোড়া
কুঁড়েঘর এ, আমরা মেয়েদেরকে অতিথি হিসেবে নিতে চাইলে ২ টি শর্ত দিচ্ছিঃ
১/ মাহরাম ছাড়া আসা যাবেনা ।
২/ ড্রেস কোড – হিজাব মাস্ট !
আমরা কিছুটা কাঠমোল্লা টাইপ, এই এলাকাও তাই ।
কাজেই এই এলাকায় এলে আপনার পোষাকের স্বাধীনতা, নারী স্বাধীনতার বয়ান দিয়ে লাভ নাই –
এবং এজন্য আমরা দুঃক্ষিত না
ক) এটা লোকাল এলাকা, এইখানে মানুষ শান্তিতে থাকে নিজেদের মত । তারা কিছুটা বোকা, কিছুটা ধর্মান্ধ ধরনের এবং, তারা তাদের মত । কাজেই, পোষাকের স্বাধীনতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা শাহবাগে চললেও, এখানে চলে না ।
খ) আপনি বিকিনি পড়েন, আমাদের কোন অসুবিধা নাই, সেটা থাইল্যান্ডে গিয়ে পড়েন, মায়ামি বিচে গিয়ে ন্যূড হোন সমস্যা নাই ।
কিন্তু অ্যানজেলিনা জোলির মতই, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এলে মাথায় ওড়না দেয়ার মত কমনসেন্স না থাকলে, সেটা আপনার মানসিক সমস্যা !
গ) এখানে আমরা এগ্রো এন্টারপ্রিনিউয়ারদের চাইছি, এবং এই রিসোর্ট থেকে লাভ আসতেই হবে সেইটা আমাদের জন্য জরুরি না ।
আপনি চিল করবেন, হ্যাংআউট করবেন, সেটার জন্য সারাদেশে অনেক অনেক যায়গা আছে, সেখানে যেতেই পারেন । সেটা আপনার স্বাধীনতা, আর আমাদের রিসোর্টে আমরা কাদেরকে অতিথি হিসেবে নেব সেটা আমাদের স্বাধীনতা ।
ঘ) যাবতীয় নেশার বস্তু হারাম – আমরা এই আয়াতে পুরোপুরিভাবে বিশ্বাসী !
ঙ ) বন্ধুদের সাথে ছেলে মেয়ে একসাথে চিল কাক শকুন বক চলবে না এখানে, এজন্য দুঃক্ষিত নই –
আমরা সেকেলে, জ্বি ।
মাই রিসোর্ট, মাই রুলস !
চিয়ার্স !!