সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সৌদি সরকার শিগগিরই ওমরাহ কার্যক্রম চালু করতে পারে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওমরাহ চালু হলে এজেন্সিগুলোর দুর্দিনও কিছুটা লাঘব হবে বলে আশা করছেন তারা। যাত্রীরাও রয়েছেন অপেক্ষায়। গত মাসের প্রথমদিকে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. হুসাইন আল শরিফ দেশটির গণমাধ্যমকে বলেছেন, হজ মন্ত্রণালয় শিগগিরই ওমরাহর প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে।
করোনাভাইরাস রোধে সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সদ্য সমাপ্ত হওয়া হজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ওমরাহর জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।
হাবের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ওমরাহ চালু হওয়ার অপেক্ষায় আছেন আগ্রহী যাত্রী ও এজেন্সি। সৌদি সরকার খুব শিগগিরই ওমরাহ কার্যক্রম চালু করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
কারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিগগিরই সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া পবিত্র কাবা ঘরও ধোয়ামোছা করা হয়েছে। এসব তৎপরতা থেকে অনুমান করা যাচ্ছে যে, শিগগিরই সৌদি সরকার ওমরাহ কার্যক্রম চালু করবে।
জানা যায়, করোনা মহামারীর কারণে সৌদি সরকার ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ করে দেয় পবিত্র ওমরাহ ভিসা কার্যক্রম। লকডাউনের সময় পবিত্র কাবা ঘর তাওয়াফ কার্যক্রমও বন্ধ রাখা হয় বেশ কিছুদিন। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশ থেকেই এবার হজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি। শুধু সৌদি আরবে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের অল্পসংখ্যক মুসলিমকে নিয়ে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র হজ।
এতে হজ ও ওমরাহ আদায়ের সুযোগ থেকে আগ্রহী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি এ কার্যক্রমে জড়িত এ দেশের বেসরকারি এজেন্সিগুলো চরম ক্ষতির মুখে পড়ে।এদিকে মক্কায় পবিত্র কাবা শরিফ গত বৃহস্পতিবার ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে।
সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে পবিত্র স্থানে ভ্রমণকারীরা যেন রক্ষা পান, সেজন্য কাবা শরিফ ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
সৌদি আরবের বাদশাহ ও পবিত্র দুই মসজিদের জিম্মাদার সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের পক্ষ থেকে কাবা শরিফ ধোয়ার কাজে নেতৃত্ব দেন মক্কার আমির যুবরাজ খালিদ আল ফয়সাল। প্রতি বছর সাধারণত হজের মাসের পর মহররমের শেষদিকে অথবা সফর মাসের শুরু থেকে পবিত্র ওমরাহ কার্যক্রম চালু করে সৌদি আরব সরকার।
পবিত্র রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত ওমরাহ ভিসা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ থেকে বছরে লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মানুষ পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে যান।
করোনার কারণে আকস্মিকভাবে গত ফেব্রুয়ারিতে ওমরাহ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে ভিসা ও বিমানের টিকিট কাটা সত্ত্বেও সৌদি যেতে পারেননি। টিকিটের টাকা ফেরত দেন সংশ্লিষ্টরা। ওমরাহ পালনে আগ্রহী অনেকেই তাদের পাসপোর্ট এখনো সংশ্লিষ্ট এজেন্সিতে জমা দিয়ে রেখেছেন।
আবার কবে ওমরাহ ভিসা চালু হবে সে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন। এদিকে হজ ও ওমরাহ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বেসরকারি দেড় হাজারের বেশি এজেন্সির চরম দুর্দিন চলছে। শিগগিরই ওমরাহ চালু হলে এসব ক্ষতি কিছুটা পোষানো সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/hajjncomewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5143caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/hajjncomewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5143
Leave a Reply