স্বতন্ত্র টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমিয়ে হজ প্যাকেজ পুনঃনির্ধারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে হাব কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে লিখিত প্রস্তাবে এ হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
হাবের প্রস্তাবে বলা হয়, এ বছর হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবতার নিরিখে অনেক বেশি ও অযৌক্তিক। যে কারণে হজ প্যাকেজ ঘোষণার পর সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য হয়নি বরং সমালোচিত হয়েছে। যেহেতু বিমান একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাই তাদের একক কর্তৃত্বে ভাড়া নির্ধারণ যথাযথ হয়নি।
হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ৫৭ হাজার ৭৯৭ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যাকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমগণ অযৌক্তিক মনে করেন এবং তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। লিখিত প্রস্তাবে আরো বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি দিক নির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে এবং বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা সউদি সরকারের কাছেও প্রশংসিত হয়েছে। হজযাত্রীদের সউদি আরবের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্নকরণ, আধুনিক ই-হজ ব্যবস্থাপনা, হজযাত্রীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রথা বাতিল, আশকোনা হজ ক্যাম্প সংস্কার ও বর্ধিতকরণসহ হজযাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনকল্পে সামগ্রিক হজ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী যে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন তা বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনার ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
যে সকল হজযাত্রী ২০২৩ সালে হজে গমণ করবেন তাঁদের অধিকাংশই ২০১৮ ও ২০১৯ সালে প্রাক-নিবন্ধিত হয়ে সে সময়ের করা আর্থিক বাজেটে হজে গমণের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু হজযাত্রীদের অতিরিক্ত বিমান ভাড়া এবং হজ প্যাকেজের উচ্চ মূল্যে ইতোমধ্যে হজযাত্রীসহ ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, ২০২২ সালে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল মূলত: করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধে জেট ফুয়েলের মূল্য বৃদ্ধি এবং তখন করোনায় বিমানের কিছু আসন খালি রেখে ফ্লাইট পরিচালনার কারণে। সে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশী হজযাত্রীদের প্রত্যাশা ছিল, করোনা পরবর্তী বিমান ভাড়া কমতে পারে। বর্তমানে জেট ফুয়েলের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি, সউদি আরব কোন নতুন চার্জ আরোপ করেনি, এবার বিমানের আসন খালি রেখে হজযাত্রী পরিবহন করতে হবে না। অথচ হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ৫৭ হাজার ৭৯৭ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যাকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমগণ অযৌক্তিক মনে করেন এবং তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
তাই উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বতন্ত্র টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমিয়ে হজ প্যাকেজ পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।