একেবারে ঘড়ি ধরে ৮০ দিনে বিশ্বভ্রমণ করেছিলেন জুলভার্নের ‘অ্যারাউন্ড দি ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ’ কাহিনির নায়ক ফিলিয়াস ফগ। উনবিংশ শতকের শেষ দিকে লেখা এ কাহিনির নায়ক ফগ ছিলেন ধনী আর স্বাস্থ্যবান পুরুষ। আর এ যুগে বাস্তবের দুই নারী কাণ্ডটি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ৮১ বছর বয়সে।যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের দুই বান্ধবী। বয়স ৮০ বছরের ঘরে থাকতেই ৮০ দিনে বিশ্বভ্রমণ করার লক্ষ্য নিয়ে পথে নেমেছিলেন তাঁরা। এখন ৮১ বছর বয়সী এলি হ্যাম্বি ও স্যান্ডি হ্যাজেলিপ। হ্যাম্বি পেশায় ছিলেন প্রামাণ্য আলোকচিত্রী এবং হ্যাজেলিপ চিকিৎসক। কয়েক দশক ধরে পরস্পরের প্রিয় বন্ধু হলেও বেড়ানোর সঙ্গী হয়েছেন উভয়ের স্বামীর মৃত্যুর পর। নিজেদের উচ্চাভিলাষী দুঃসাহসিক অভিযান শুরু করেন গত জানুয়ারিতে। ফিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক বিস্ময় নর্দার্ন লাইটস, পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট, ইতালির কলোসিয়াম, ভারতের তাজমহলসহ অনেক কিছুই তাঁরা দেখেছেন। দুই বান্ধবীর প্রথম গন্তব্যস্থল ছিল অ্যান্টার্কটিকা। ‘অ্যান্টার্কটিকার মাটিতে পা রেখে পথের সব কষ্ট ভুলে গিয়েছিলাম। অ্যান্টার্কটিকার সৌন্দর্য অবিশ্বাস্য। পেঙ্গুইন, আইসবার্গ ও হিমবাহ দেখতে পারা সত্যিই আশ্চর্যের’—বলেছেন এলি হ্যাম্বি। ভ্রমণকালে বান্ধবীদ্বয় বিশ্বের সাতটি মহাদেশের ১৮টি দেশে পা রেখেছেন। বেশির ভাগ সময় তাঁদের পরনে ছিল একই রকম টি-শার্ট। ভ্রমণের তথ্য নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন তাঁরা। বান্ধবীরা বললেন, তাঁদের এবারের লক্ষ্য সব বয়সের মানুষকে আরামে বসে থাকার অভ্যাস থেকে বাইরে বেরিয়ে পড়তে উৎসাহিত করা। এ প্রসঙ্গে স্যান্ডি হ্যাজেলিপ সেই চতুর্থ শতাব্দীর দার্শনিক সেন্ট অগাস্টিনকে উদ্ধৃত করে বললেন, ‘পৃথিবী একটা বইয়ের মতো। যে ভ্রমণ করল না সে যেন কেবল এর একটি পাতাই পড়ল।’
সূত্র : সিএনএন