সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠান যেমন ট্রেড, কারখানা, দোকান, ডিলার, খুচরা বিক্রেতা, পরিবেশক, ফার্মেসি, রেস্টুরেন্ট, পেট্রলপাম্প, ট্রাভেল-ট্যুরিজম-রিসোর্ট, পরিবহন, ফ্যাশন হাউস, বিউটি পারলার, নারী উদ্যোক্তা, সেলুনসহ ক্ষুদ্র কুটির ও মাঝারি শিল্পের সদস্য প্রতিষ্ঠান।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেছেন, করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্পসুদে ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা দিতে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে এফবিসিসিআই। কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে সম্ভাব্য সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।
গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানান এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। ৫ এপ্রিল প্যাকেজ ঘোষণার পর সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়ার প্রক্রিয়া যাতে সহজ হয়, সে জন্য গত ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রস্তাব দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি। সেখানে গণমাধ্যমের জন্য সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার বিষয়টির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এফবিসিসিআইয়ের প্রস্তাবের পর বিশেষ উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ৩০ এপ্রিল করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠানকে পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়ার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ বিতরণের প্রতিটি ধাপ যথাসাধ্য সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ ব্যাংক আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শাখায় একটি স্বতন্ত্র হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে। আর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা বিতরণ কার্যক্রম তদারকি করতে নিজ নিজ প্রধান কার্যালয়ে একটি মনিটরিং টিম গঠন করবে। এ ছাড়া সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ দিতে জামানতের পরিবর্তে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও গ্রুপ গ্যারান্টি বিবেচনা এবং ঋণগ্রহীতা নির্বাচন, বিতরণ ও আদায় কার্যক্রমে এফবিসিসিআই ও তাদের সহযোগী সংগঠনের পরামর্শ নিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এফবিসিসিআই তাদের প্রস্তাবে সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠান যেমন ট্রেড, কারখানা, দোকান, ডিলার, খুচরা বিক্রেতা, পরিবেশক, ফার্মেসি, রেস্টুরেন্ট, পেট্রলপাম্প, ট্রাভেল-ট্যুরিজম-রিসোর্ট, পরিবহন, ফ্যাশন হাউস, বিউটি পারলার, নারী উদ্যোক্তা, সেলুনসহ ক্ষুদ্র কুটির ও মাঝারি শিল্পের সদস্য প্রতিষ্ঠানের জন্য এই ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে জেলা চেম্বারের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছে। প্রয়োজনে ঋণ পরিশোধের সময়ও জেলা চেম্বার ও ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সহায়তা গ্রহণ করার বিষয়টি উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ বা বিনিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে যথাযথ সহযোগিতা না করলে তা এফবিসিসিআইকে অবগত করার আহ্বানও জানিয়েছেন শেখ ফজলে ফাহিম। তিনি বলেন, এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, সেটিও তদারকি করবে এফবিসিসিআই।
এ ছাড়া সংবাদপত্র, টিভি, ট্রাক, কার্গো, লঞ্চ এবং প্রচ্ছন্ন রপ্তানির ক্ষেত্রে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনের ব্যাংক তালিকার ভিত্তিতে ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক সংগঠনের পরামর্শ অনুযায়ী ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা কোনো রকম জটিলতা ছাড়া দেওয়ার দাবি জানায় এফবিসিসিআই।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের বেশির ভাগের অবকাঠামো ও ব্যাংকারদের সঙ্গে সম্পর্ক অন্যদের তুলনায় অনেক কম। ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে যদি প্রচলিত ব্যবস্থায় পর্যালোচনা করা হয়, তাহলে অনেকে উদ্যোক্তাই ঋণ ও বিনিয়োগ সুবিধা পাবেন না। অন্যদিকে ঋণ ও বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ ও চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় না হলে কাঙ্ক্ষিত ফল আসবে না।
তথ্য সূত্র : দৈনিক প্রথম আলো
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/hajjncomewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5143caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/hajjncomewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5143
Leave a Reply