ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে নামবে দেশী বিদেশী পর্যটকদের ঢল। আর এসব পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। পর্যটন স্পটগুলোকে নানা ভাবে সাজানো হয়েছে। হোটেল মোটেলের প্রায় ৮০ ভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য থাকবে জেলা প্রশাসনের বিশেষ মোবাইল টিম।
বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের পর পর শুরু হয় পর্যটনের বিশেষ মৌসুম। এবারে একটু তাপদাহ থাকলেও লাখো পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।সবুজ পাহাড়ের কোল ঘেঁষে সমুদ্রের বিশাল জলরাশি যেন চুরি করেছে আকাশের নীল রং। এমন সৌন্দর্য্যের মিতালী ঘটেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। এই রূপ দেখতে এবং সমুদ্রের জলে গা ভাসাতে প্রতিবছর কক্সবাজারে বেড়াতে আসে অসংখ্য পর্যটক। এই ঈদেও এরকম উপচে পড়া ভিড় হবে সমুদ্র শহরে এমন মনে করছেন হোটেল মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা।হোটেল দ্য কক্স টুডের ম্যানেজার আবু তালেব শাহ বলেন: ইতিমধ্যে তাদের হোটেলের ৮০% অগ্রিম ভাড়া হয়ে গেছে। হোটেল সিগাল এর ম্যানেজার হারুন অর রশিদ জানান: পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তারা পুরোপুরি প্রস্তুত। তাদের হোটেলের ৯০% ইতিমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন: আমরা পর্যটকদের জন্য উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছি। তবে তাপদাহের কারণে কিছুটা কম পর্যটক আসতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জানান: ইতিমধ্যেই সাফারি পার্ক, সোনাদিয়া দ্বীপ, মহেশখালী, ইনানি, হিমছড়ি, আদিনাথ মন্দির, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনসহ পর্যটন স্পটগুলোকে নানা ভাবে সাজানো হয়েছে।এসব এলাকায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে তারা বুকিং ও পেয়েছেন বলে জানান। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন: কক্সবাজার শহরে পুরোটাই সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, এসবের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ টহল থাকবে। সব মিলে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন: হোটেল এবং রেস্টুরেন্টগুলো যাতে পর্যটকদের হয়রানির করতে না পারে সেজন্য ঈদের পরদিন থেকে সমুদ্র সৈকত ও তার আশপাশের এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের টিম কাজ করবে।কোন পর্যটক হয়রানি হয়েছে এমন অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঈদের পরদিন থেকে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের স্বাগত জানাতে সাড়ে চার শতাধিক হোটেল ও দুই শতাধিক রেস্টুরেন্ট প্রস্তুত রয়েছে।
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/hajjncomewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5143caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/hajjncomewsbd/public_html/wp-includes/functions.php on line 5143
Leave a Reply